۲۴ آبان ۱۴۰۳ |۱۲ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 14, 2024
পৃথিবীতে এলিয়েন আছে, সব নজরে রাখছে!
পৃথিবীতে এলিয়েন আছে, সব নজরে রাখছে!

হাওজা / " পৃথিবীতে এলিয়েন আছে, সব নজরে রাখছে! কোন রহস্য ভেদ করল মিলিটারি ইনসাইডার? "

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, মিলিটারি ইনসাইডারের বরাত দিয়ে www.wall .in এর খবরে প্রকাশ : " পৃথিবীতে এলিয়েন আছে, সব নজরে রাখছে! কোন রহস্য ভেদ করল মিলিটারি ইনসাইডার? "

পৃথিবীতে এলিয়েনরা সত্যিই আছে কিনা, তা নিয়ে প্রচুর জল্পনা ও চর্চা চলে আসছে। গল্প, সিনেমার কিছুই বাদ যায়নি।

৫ নভেম্বর ২০২৪

এ খবর নিয়ে কিছু কথা : (পৃথিবীতে এলিয়েন আছে)

১.

এলিয়েনদের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যায় নি অথচ নাসার প্রধানের মতো পশ্চিমারা বিশ্বাস করে যে এলিয়েনরা নাকি আছে পৃথিবীতে এবং সব কিছু নাকি নজ়়রে রাখছে!!! তাদের বক্তব্য : " যদিও এলিয়েনদের অস্তিত্ব প্রমাণ করা যায় নি তবে তাদের অস্তিত্বের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না ! "

তাহলে আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষিতরা কেন জ্বিন জাতির অস্তিত্বে বিশ্বাস করেনা যাদের কথা পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে ?!!

এলিয়েনরা আসলে কি জ্বিন জাতি যাদেরকে আল্লাহ পাক আগুন থেকে সৃষ্টি করেছেন ?!

জ্বিনের কথা বললে আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষিতরা তা অলীক কল্পকাহিনী ও কুসংস্কার বলে বিবেচনা করে ও নাক সিটকাতে থাকে। কিন্তু এরাই আবার অপ্রমাণিত এলিয়েনদের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে এবং বলে যদিও এলিয়েনদের অস্তিত্ব প্রমাণিত হয় নি তবুও তাদের অস্তিত্বের সম্ভাবনা রয়েছে এবং এরপর তারা এলিয়েনদের অস্তিত্বে তাদের বিশ্বাসের কথা ব্যক্ত করে। আর তখন জ্বিনের অস্তিত্বে বিশ্বাসকে অমূলক , অলীক , অবস্তুনিষ্ঠ , কাল্পনিক অবৈজ্ঞানিক ও খুরাফত ( কুসংস্কার ) বলে জ্ঞান করলেও এদের দৃষ্টিতেই এলিয়েনদের অস্তিত্বে বিশ্বাস অবস্তুনিষ্ঠ , খুরাফত (কুসংস্কার ) , অমূলক , অলীক , কাল্পনিক ও অবৈজ্ঞানিক নয় এবং তা তাদের বিজ্ঞান মনস্কতারও পরিপন্থী বলে গণ্য হয় না ! এটাই দ্বিমুখী নীতি আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষিতদের ।

২.

আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষিতরা বলে যেহেতু জ্বিন জাতির অস্তিত্ব প্রমাণিত হয় নি সেহেতু জ্বিন জাতির অস্তিত্বে বিশ্বাস করা অনুচিত স্রেফ পবিত্র কুরআনের মতো কিছু ধর্মীয় গ্রন্থে আগুনের তৈরী এই জ্বিন জাতির কথা উল্লেখিত হওয়ার জন্য !! অর্থাৎ বৈজ্ঞানিক পন্থায় জ্বিনের অস্তিত্ব প্রমাণিত না হওয়ায় জ্বিনের অস্তিত্বে বিশ্বাস হয়ে যাবে খুরাফত (কুসংস্কার ) , কাল্পনিক , অলীক, অমূলক গালগপ্পো ও অবাস্তব এদের কাছে !! অথচ এরাই আবার অবলীলায় এলিয়েনদের অস্তিত্বে বিশ্বাস করছে যাদের অস্তিত্ব এখন পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক পন্থায় প্রমাণিত হয় নি । তবে প্রমাণ করা না গেলেও তাতে কি? এলিয়েনদের অস্তিত্বের সম্ভাবনা তো উড়িয়ে দেওয়া বা নাকচ করে দেওয়া যায় না। ওদের এই একই কথা জ্বিনের ক্ষেত্রেও বর্তাবে এবং বলতে হবে যে যদিও জ্বিন জাতির অস্তিত্ব বৈজ্ঞানিক পন্থায় প্রমাণিত হয় নি এখন পর্যন্ত তবে জ্বিন জাতির অস্তিত্বের সম্ভাবনা তো উড়িয়ে দেওয়া যায় না । তাহলে আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষিতরা যেমন এলিয়েনদের অস্তিত্ব বৈজ্ঞানিক পন্থায় প্রমাণিত না হওয়া সত্ত্বেও স্রেফ এদের অস্তিত্বের সম্ভাবনার ভিত্তিতে এলিয়েনদের অস্তিত্ব মেনে নিয়েছে ও বিশ্বাস করেছে ঠিক তেমনি পাশ্চাত্য শিক্ষিতদের উচিত জ্বিন জাতির অস্তিত্ব যদিও এদের কাছে এখন পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক পন্থায় প্রমাণিত হয় নি তবুও এদের ( পাশ্চাত্য শিক্ষিত দের ) উচিত জ্বিন জাতির অস্তিত্বের সম্ভাবনার ভিত্তিতে জ্বিনদের অস্তিত্ব মেনে নেওয়া ও বিশ্বাস করা ।

আমাদের অর্থাৎ মুসলমানদের কাছে সর্বাগে মহান স্রষ্টার অস্তিত্ব অকাট্য বুদ্ধিবৃত্তিক ( আকলী عقلي ) ও সহজাত মানব প্রকৃতি ভিত্তিক ( ফিতরী فطري ) দলীল ও যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করার পর আমরা ( মুসলমানরা ) মহান স্রষ্টার বাণী নবী রসূলদের মাধ্যমে বিশেষ করে পয়গম্বর - ই ইসলাম হযরত মুহাম্মদ (সা )এর আনিত আসমানী গ্রন্থ পবিত্র কুরআনের বিশুদ্ধতা বুদ্ধিবৃত্তিক ভাবে প্রমানিত হয়ে যাওয়ার পর এ গ্রন্থে বর্ণিত জ্বিন জাতি ও ফেরেশতাদের অস্তিত্বে বিশ্বাস করি । সুতরাং জ্বিন জাতির অস্তিত্বে বিশ্বাস বৈজ্ঞানিক পন্থায় প্রমাণিত হওয়ার আগেই বুদ্ধিবৃত্তিক দলিল প্রমাণের আলোকে ও সমর্থনে প্রমাণিত এবং বুদ্ধিবৃত্তিক দলিল প্রমাণ বৈজ্ঞানিক পন্থায় প্রমাণ প্রক্রিয়ার পূর্ব ভিত্তি স্বরূপ। বুদ্ধিবৃত্তি ব্যতীত বৈজ্ঞানিক পন্থা যা হচ্ছে পরীক্ষা নিরীক্ষা ভিত্তিক তা খোঁড়া, পঙ্গু ও অপারগ !! কারণ বৈজ্ঞানিক ফলাফল ও সিদ্ধান্ত বুদ্ধিবৃত্তিক বিশ্লেষণ ও যুক্তির ওপর নির্ভর শীল যদিও বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিরীক্ষায় ভূল হতে পারে এবং ভূল হলে বৈজ্ঞানিক পন্থা ভুল সিদ্ধান্তের দিকে নিয়ে যাবে।

৩.

তাহলে এলিয়েন = জ্বিন জাতি?

জ্বিন জাতি আগুনের তৈরী

এলিয়েনরাও কি আগুনের তৈরী ?

এলিয়েনরা=/ জ্বিন জাতি ( এলিয়েনরা জ্বিন জাতি নয় )

এ সব প্রশ্ন উত্থাপিত হতে পারে ।

কোনো জিনিসের বাস্তব উপস্থিতি তার অস্তিত্বের সতত: প্রমাণ।

এলিয়েন মানুষের মতো ফিজিক্যাল এলিমেন্ট ( মাটি বা বস্তুগত মৌল ) নির্মিত হতে পারে। মানুষ দেহ ও আত্মার ( রূহ ) সমন্বয়ে গঠিত। মানব দেহ ( জিসম ) বস্তুগত ( ফিজিক্যাল ম্যাটেরিয়াল বা মাদ্দী مادّي) কিন্তু তার রূহ অবস্তুগত ইমমেটারিয়াল অর্থাৎ মুজাররাদ ) ।

৪.

আর কয়দিন পর এলিয়েনদের মত ভূত প্রেতের অস্তিত্ব নিয়ে গবেষণা , চর্চা ও বিশ্বাসও পাশ্চাত্যের বৈজ্ঞানিক মহল যেমন : নাসায় প্রত্যক্ষ করা যাবে ।

পবিত্র কুরআনের মুহতাওয়ায়াত ( ٌ.مُحْتَوَیَات ) অর্থাৎ আয়াত সমূহের অন্তর্নিহিত অর্থ , তাৎপর্য ও বিষয়বস্তু সমূহ জোরালো ভাবে অকাট্য যুক্তি, দলিল ও প্রমাণের ভিত্তিতে অকাট্য , অভ্রান্ত , সত্য ও বিশুদ্ধ এবং সব ধরণের বাতিল ও ভুল - ভ্রান্তি ও ত্রুটি থেকে মুক্ত ও পবিত্র । আর জ্বিন জাতির কথা পবিত্র কুরআনে বর্ণিত ও উল্লেখিত হয়েছে। অতএব জ্বিন জাতির অস্তিত্বে বিশ্বাস করতেই হবে। কারণ পবিত্র কুরআনে কোন ধরনের সন্দেহ ও সংশয় নেই

ذٰلِکَ الْکٌتَابُ لَا رَیْبَ فِیْهِ هُدَیً لِلْمُتَّقِیْنَ .

ঐ গ্রন্থ ( কিতাব অর্থাৎ আল কুরআন এমনই এক গ্রন্থ) যার মধ্যে কোন সন্দেহ নেই ; মুত্তাকী পরহেযগারদের জন্য তা হিদায়াত ( হুদা অর্থাৎ হাদী = সুপথ প্রদর্শক )

৬.

পবিত্র কুরআনে যে কোনো সন্দেহ , ভুল ভ্রান্তি , ত্রুটি , পরিবর্তন ও বিকৃতি নেই যা পূর্বেই অভ্রান্ত বুদ্ধিবৃত্তিক দলীল ও যুক্তি ( আকলী দলীল ও বুরহান البرهان و الدلیل العقلي )দিয়ে প্রমাণ করা হয়েছে। তাই " ঐ গ্রন্থের ( কিতাব অর্থাৎ কুরআন) মধ্যে অবশ্যই কোনো সন্দেহ নেই । " - এ আয়াত ব্যবহার করতে বুদ্ধিবৃত্তিক কোনো সমস্যা ও আপত্তি নেই ।

৭.

এ আলোচনা ও বাহাস অবতারণা করার উদ্দেশ্য হচ্ছে এই যে যেহেতু পবিত্র কুরআনের বেশ কিছু আয়াতে জ্বিনের কথা এসেছে সেহেতু পবিত্র কুরআনের অন্তর্নিহিত বিষয়াদির অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে এই জ্বিন জাতি ।

অতএব " জ্বিনের অস্তিত্ব যেহেতু বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয় নি সেহেতু তা মানা ও বিশ্বাস করা যাবে না । " - এ ধরনের ঠুনকো খোঁড়া যুক্তি ও কথার দোহাই দিয়ে জ্বিনের অস্তিত্ব অস্বীকার করা যাবে না।

৮.

মহান আল্লাহই পরম ও সবচেয়ে সত্যবাদী । কারণ , তিনি অস্তিত্বের উৎস্য মূল ( মাব্দাউল উজূদ্ مبدأ الوجود ) । সকল অস্তিত্ব জগৎই ( গোটা নিখিল বিশ্বে ) তাঁর ওপর নির্ভরশীল এবং একমাত্র সত্যই ( হক ) তিনি । তাই সত্য ও হাকিকত আল্লাহ ব্যতীত কল্পনা করাই যায় না । ওয়া মান আসদাক্বু মিনাল্লাহি ক্বীলা

و من أصدق من الله قیلا

আর মহান আল্লাহর চেয়ে সবচেয়ে সত্যবাদী আর কে আছে ? (সূরা -ই নিসা : ১২২ )

তাই মহান আল্লাহ পরম সত্য ও সবচেয়ে সত্যবাদী না হন তাহলে গোটা অস্তিত্ব জগৎই আর বিদ্যমান থাকবে না । অসত্য ও মিথ্যা অনস্তিত্বশীল ( গায়র মওজূদ غیر موجود ) , অবিদ্যমান ও আপেক্ষিক।

তাই বুদ্ধিবৃত্তি হুকুম করে যে সত্য ব্যতীত কিছুই নেই। আর মিথ্যা আপেক্ষিক অমূলক । মহান আল্লাহ ই পরম সত্য ( আল - হক্ব ) । পরম সত্যবাদী মহান আল্লাহর বাণী পরম সত্য । আল - কুরআন মহান আল্লাহর বাণী এবং পরম সত্য এবং বাতিল ও মিথ্যা এ গ্রন্থকে কোনো ভাবেই স্পর্শ করতে পারে না। অতএব পবিত্র কুরআন যে যে বিষয় সম্পর্কে খবর , তথ্য ও সংবাদ দিয়েছে সেগুলোর সবই সত্য । আর যে সব বিষয় পবিত্র কুরআন আমাদেরকে জানিয়েছে সেগুলোর মধ্যে জ্বিন , হুর ও মালাক ( ফেরেশতা ) রয়েছে। অতএব ফেরেশতা, হুর ও জ্বিন জাতির অস্তিত্ব সত্য ।

সুতরাং বুদ্ধিবৃত্তিক ভাবে ফেরেশতা , হুর ও জ্বিন জাতির অস্তিত্ব প্রমাণিত হল এবং পরীক্ষাগারে বৈজ্ঞানিক পন্থায় বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে জ্বিন জাতির অস্তিত্ব প্রমাণের দরকার নেই। যদি তা করা যায় তবে তা ভালো। কিন্তু জ্বিন জাতির অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য বুদ্ধিবৃত্তিক দলিল প্রমাণ ই যথেষ্ট।

এখন এলিয়েনদের অস্তিত্বে বিশ্বাসীদের যেমন নাসা প্রধান এবং আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষিতদের উচিত জ্বিন , হূর , মালাকের ( ফেরেশতা) অস্তিত্বে বিশ্বাস এবং তা মেনে নেওয়া এবং এগুলোয় বিশ্বাসকে খুরাফত ( কুসংস্কার ) বলে অভিহিত না করা ।

আর জ্বিন , হূর ও মালাকের (ফেরেশতা) অস্তিত্বে অবিশ্বাস অথচ এলিয়েনদের অস্তিত্বে বিশ্বাস আসলে কোন ধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক সন্তোষজনক দলীল ও কারণ ব্যতিরেকেই প্রাধান্য ও অগ্রাধিকার প্রদানের ( ترجیح بلا مرجح তরজীহে বিলা মুরাজ্জেহ্ ) শামিল যা বুদ্ধিবৃত্তিক ভাবে নিন্দনীয় , পরিত্যাজ্য ও বর্জনীয়। কারণ এদের ( আধুনিক বস্তুবাদী পাশ্চাত্য শিক্ষিত দের ) দৃষ্টিতে জ্বিন , হূর, মালাক (ফেরেশতা) ও এলিয়েনদের অস্তিত্ব বৈজ্ঞানিক পন্থায় প্রমাণিত হয় নি এবং এ সব বিষয় একই পর্যায়ের। অতএব সঠিক দলীল প্রমাণ ছাড়াই সমপর্যায়ভুক্ত বিষয় ও জিনিস গুলোর মধ্য থেকে কেবল যে কোন একটির অস্তিত্বে ( যেমন : এলিয়েনদের অস্তিত্বে ) বিশ্বাস এবং বাদ বাকিতে ( জ্বিন , হূর ও মালাকের অস্তিত্বে ) অবিশ্বাস আসলে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং এটাই হচ্ছে যথার্থ সন্তোষজনক দলীল প্রমাণ ব্যতিরেকে প্রাধান্য ও অগ্রাধিকার প্রদান যা সর্বৈব প্রত্যাখ্যাত , বর্জনীয় ও পরিত্যাজ্য ।

তাই যারা যে কারণে এলিয়েনদের অস্তিত্বে বিশ্বাসী তাদের উচিত ঠিক সেই একই কারণে জ্বিন , হূর ও মালাকেও বিশ্বাস করা ।

সুতরাং অকাট্য যুক্তি ও দলীল প্রমাণের আলোকে সত্য প্রমাণিত আসমানী গ্রন্থ পবিত্র কুরআনে উল্লেখিত জ্বিন , হূর, মালাকের ( ফেরেশতা) অস্তিত্ব বাস্তব সত্য ।

রিপোর্ট: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .